বাংলাদেশের মিডিয়া মালিক হওয়ার মিশনে প্রবাসী ছদ্মবেশী জঙ্গী মদদদাতারা।
রিপোর্ট ঃ আসাদুজ্জামান ঃ
বাংলাদেশকে অকার্যকর রাস্ট্র হিসাবে চিন্হিত করতে বার বার চেস্টা করে ব্যার্থ হওয়া উগ্র সন্ত্রাসবাদীরা এবার কৌশল পরিবর্তন করে নয়া মিশনের খবর পাওয়া গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেজবুক টুইটার ইউটিউবকে ব্যাবহার করে গুজব ছড়িয়ে তেমন সুবিধা করতে না পেরে এবার বাংলাদেশে গনমাধ্যম খোলার প্রস্তুতি নিয়েছে তারা । ভদ্রবেশে থাকা ঐ সকল প্রবাসী জঙ্গী মদদদাতারা হাজার কোটি টাকার বেশি বাজেট নিয়ে একটি গনমাধ্যম খুলে সারা দেশে সাংবাদিক নিয়োগ দিয়ে দেশকে অশান্ত করার জাল বিস্তারের চেস্টার আভাস পাওয়া গেছে। ইতোপুর্বে জঙ্গীবাদ সহ নানান শ্রেনীকে ব্যাবহার করে দেশে নাশকতা হামলা হত্যা করিয়ে ব্যার্থ হয়ে এবার মিডিয়াকে টার্গেট করে ব্যাবহার করার অপচেস্টায় লিপ্ত হয়েছে। ঐ চক্রটি ইতোমধ্যে ভদ্রবেশে বহু সাংবাদিকদের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বন্ধুত্ব করার চেস্টা করতেছে। ঐ সংবাদ পত্রের মাধ্যমে সারা দেশের আওয়ামীলীগ ও সমমনা নেতৃবৃন্দের চরিত্র হনন করে জনগনের কাছে কলংকিত করে জন ঘৃনার মুখোমুখি করতে চেস্টা করবে। এ মিশন বাস্তবায়নে স্বাধীনতার স্বপক্ষের বড় মাপের কাউকে ম্যানেজ করার প্রচেস্টা চালাতে পারে । এই চক্রটি নিয়ন্ত্রন হচ্ছে আমেরিকার মিশিগান শহর থেকে। সেখানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধীদের একটা বৃহত প্লাটফরম রয়েছে। সেখানে সাইনবোর্ড হিসাবে জীবন জীবিকার জন্য একটা বিশ্ব বিদ্যালয় করেছেন। বিভিন্ন দেশে থাকা বাংলাদেশী বেশ কয়েক জন প্রবাসী মিলে অর্থ সংগ্রহ করে একটা ফান্ট করেছেন। তারা এই সরকারকে হটাতে বিদেশে বসে নানান চক্রান্ত করছেন। মিশিগানে এই জংগী চক্রের মুল পরিচালক লাল মিয়া লালু। তিনি সিলেটর বাসিন্দা। তিন যুগের বেশী সময় আমিরিকার নাগরিক হয়েছেন। এছারাও মইনুল হক এবং মিশিগানে বিশ্ব বিদ্যালয়ের কয়েক জন শিক্ষক রয়েছেন। কোটি কোটি টাকা দিয়ে বিদেশি মিডিয়ায় বংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের নায়ক ও তারা। তাদের ইউটিউব ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল রয়েছে। যার মাধ্যমে তারা দিন রাত সরকার বিরোধী অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এদের মধ্যে মিনা ফারাহ. মেজর দেলোয়ার. মইনুল হক. ফারুক. সিফাত উল্লাহ সেফু সহ আরো কয়েকজনে এক যোগে সরকার বিরোধী অপপ্রচার চালিয়ে বিদেশে বসে কিছু করতে না পেরে নিজেরা আড়ালে থেকে এবার বাংলাদেশে বিগ বাজেটের গনমাধ্যম করতে চাচ্ছে।
গত মাসে আমার লেখা প্রতিবেদনে বলে ছিলাম. বাংলাদেশকে অসান্ত করতে বিদেশী কতিপয় প্রবাসীর নয়া মিশন। এই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর কিছুটা নড়ে চড়ে বসে প্রবাসী জঙ্গী চক্র । নানান বিবৃতি দিয়ে আমাকে অকথ্য গালি গালাস করেছিলো। পরে নিজেদেরকে আড়াল করতে মাঝে মাঝে ব্যাক ফুটে যেতে দেখা গেছে। অনুসন্ধান করলে বের হয়ে আসে আরো অজানা তথ্য। জানা যায় জঙ্গী নেতা লাল মিয়া লালু লিখেছেন ১৯৭১ সাল ১৯৭৫ সাল ১৯৮১ সাল ও ২০০৭ সালে বাংলাদেশে কিছু ঘটেছে। এবার ২০২১ সালে কিছু ঘটবে? আবার লিখেছেন সময় বলে দিবে । কি ঘটাতে চায় লালু চক্র? বাংলাদেশের কারা যোগাযোগ রাখেন তাদের সাথে? সব কিছু খতিয়ে দেখা দরকার। জানা গেছে কিছু দিন আগে ঐ চক্রটি মিশিগানে ভুড়ি ভোজের নামে শ খানেক প্রবাসী নিয়ে বৈঠক করেছিলো। সেখানে সরকার হটানোর নীল নকশা নিয়ে করনীয় আলোচনা হয়েছিলো। নিজেদেরকে নিরাপদ রাখার জন্য রেমিটেন্স যোদ্ধা ছাপাই গাইতে প্রবাসী উছিলা দিয়ে অন্তরালে থাকতে চায় । তারা প্রায় ৩৫ /৪০ বছর আগে দেশ ত্যাগ করে বিদেশে গিয়েছে। বর্তমানে সেখানকার সিনিয়র সিটিজেন। বাংলাদেশে তাদের কিছু নেই। কিন্তু স্বাধীনতা যুদ্ধে চরম পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে বাংলার কতিপয় বেইমান আজো সোচ্চার।