বড় হচ্ছে মেঘনা ছোট হচ্ছে ভোলার রাজাপুর

ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের তিন চারটি ওয়ার্ড নদী ভাঙ্গনে বিলিন হয়ে গেছে।
ভোলার উত্তরে মেহেন্দিগঞ্জের সীমানাবর্তী বহমান মেঘনা নদীর ভাঙ্গনের কারণে মেঘনা নদীর তীরবর্তী রাজাপুর জোরখাল থেকে চর মোহাম্মদ আলী পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার এলাকায় নদী ভাঙন চলতে থাকে।
দীর্ঘ ১০ বছরের ও বেশি সময় ধরে মেঘনার ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। সংস্কার না হওয়ায়, বড় হচ্ছে মেঘনা আর ছোট হচ্ছে বিশাল আয়তনের রাজাপুর। নদী ভাঙ্গনে অসহায় মানুষগুলো হারিয়েছে তাদের বসত-ভিটাসহ আবাদি জমি।
কান্নাজড়িত কন্ঠে স্থানীয় আয়েশা খাতুন বলেন, নদীগর্ভে বিলিন হয়ে আমরা আজ পথের ভিখারী।

২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মাসুদ রানা বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ মেঘনার ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। স্থায়ীভাবে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করার ব্যবস্থা গ্রহণ না হওয়ায় বর্তমানে রাজাপুর ইউনিয়ন হুমকির মুখে।
স্থানীয় ইসমাইল মোল্লা, কলেজ ছাত্র শরিফুল ইসলাম বলেন, বর্ষা মৌসুমে অনেক বেশি পরিবারের মানুষ নদী ভাঙনের হুমকিতে পড়েন। এদের মধ্যে অনেকের ৩-৪বার ভাঙনের মুখে পড়েছেন। নতুন করে ঘর তোলার সামর্থ্য নেই তাদের।
দ্রুত ভাঙন ঠেকাতে না পারলে রাজাপুরের চর মোহাম্মদ আলী স্কুল, কোড়ালিয়া স্কুল, রাজাপুর বাজারসহ বেশ কয়েকটি স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ ও মাছঘাটসহ গুরুপ্তপূর্ণ স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে বলে জানান এলাকাবাসী।