বরিশালের কাজিরহাট এমএম মাধ্যমিক স্কুলে এ্যসাইনমেন্ট’র নামে পাচঁগুন অর্থ আদায়

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাজিরহাট থানা এলাকায় অবস্তিত এমএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে এ্যাসাইনমেন্টের নামে পাচঁ গুন অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিজন শিক্ষার্থীর নিকট থেকে এ অর্থ আদায় করা হচ্ছে। ঐ এলাকার বেশিরভাগ মানুষ তৃনমূল কৃষক। ফলে ছেলে মেয়েদের লেখাপাড়ার খরচ জোগানোর জন্য হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রতি সপ্তাহে অনেকের দুইটি এ্যাসাইনমেন্ট জমা দেয়ার সাথে গুনতে হচ্ছে ২শত টাকার অধিক। গড়ে ৭০ থেকে ১১০ টাকা পযর্ন্ত প্রতি শিক্ষার্থীর নিকট থেকে টাকা নিচ্ছেন শিক্ষকরা।

জানগেছে, ঐ স্কুলের ৫০৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৮০জন এসএসসি পরিক্ষার্থী রয়েছেন। বাকি সকলের নিকট থেকে প্রতি সপ্তাহে এ্যাসাইনমেন্টের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে। যার তিনটি সন্তান স্কুলে লেখাপড়া করে তার প্রতি সপ্তাহে গুনতে হচ্ছে ৩৩০টাকা। যাহা অসহনিয় বলছেন অভিভাবকরা।

ঐ স্কুলের শিক্ষার্থীর পিতা মোঃ নাসির উদ্দিন ও হানিফ মাতুব্বর বলেন, প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে সকল শিক্ষার্থীর নিকট থেকে প্রতি সপ্তাহে ৭০ থেকে ১১০টাকা নিচ্ছেন স্কুলের শ্রেনী শিক্ষকরা। এবিষয়টি স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি কাজি আনজার হোসেন এর নিকট জাননো হলেও কোন সুফল পাওয়া যায়নি। শিক্ষার্থীর আভিভাক মিজানুর রহমান ও খবির সহ একাধিক অভিভাবক একই অভিযোগ করেছেন। এছাড়াও স্কুলের বিদুৎ বিল দেয়ার দায়ভার চাপানো হয়েছে শিক্ষার্থীর উপর। করোনা কালিন সময়ে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে বেতন আদায় না করার নির্দেশ থাকলেও এমএম স্কুলের সকল শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে মাসিক বেতন আদায় করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জয়নাল আবেদিন বলেন, শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ১০/১৫ টাকা নেয়া হয়। বারতি নেয়া হয় না। তিনি আরো বলেন, বিদুৎ বিল বাবদ প্রতি শিক্ষার্থীর নিকট থেকে মাসিক ৫টাকা, গাল্স গাইড ও রেডক্রিসেন্ট মিলে বাৎসরিক প্রায় ১০০টাকা নেয়া হয়। এগুলো জেলা ও উপজেলায় জমা দেয়া হয়। স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি কাজি আনজার হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে বরতি টাকা নেয়ার বিষয়টি তিনি শুনেছেন। প্রয়োজনে সভা ডেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে একধিক অভিভাবক বলেন, শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে এ্যাসাইনমেন্টের নামে আদায় করা বারতি টাকা স্কুলের সভাপতি ও কয়েকজন শিক্ষক মিলে ভাগবাটোয়ারা করেন। তবে এ অভিযোগ অশিকার করেন সভাপতি ও শিক্ষকরা। একধিক অভিভাবক বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক জেলা কর্মকর্তা ও বরিশাল শিক্ষা বোর্ড কর্মকর্তাগন বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নিলে এই এলাকার গরিব শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা অতিরিক্ত অর্থ দেয়ার কষাঘাঁত থেকে রক্ষা পেত।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *