বাড়ি বাড়ি তল্লাশি, চলছে পুরোনো মামলায় গ্রেপ্তার

  বিশেষ প্রতিনিধি    11-11-2022    139
বাড়ি বাড়ি তল্লাশি, চলছে পুরোনো মামলায় গ্রেপ্তার

চলছে কথার যুদ্ধ, পাল্টাপাল্টি হুমকি, একের পর এক সমাবেশ, জনস্রোত দেখানোর প্রতিযোগিতা। হামলা-মামলা-ধরপাকড়ও থেমে নেই। সব মিলিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এক বছরের বেশি সময় আগেই প্রধান দুই রাজনৈতিক দল রাজপথ দখলের লড়াইয়ে নেমেছে।

সামনে ডেটলাইন ১০ ডিসেম্বর। ওই দিনই রাজধানীর বুকে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে বিএনপি। আর তাতেই নতুন করে তেতে উঠেছে রাজনীতির ময়দান। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নেতাদের পাল্টাপাল্টি বাহাসে উত্তেজনার পারদ চড়েছে। আওয়ামী লীগ নেতারা বিভিন্ন সমাবেশে বারবার বলছেন, ‘খেলা হবে।’ বিএনপিও সভা-সমাবেশে পাল্টা উত্তেজনাকর বক্তব্য ছুড়ছে।

এরই মধ্যে শত বিপত্তি ঠেলে পাঁচটি বিভাগীয় গণসমাবেশ শেষ করছে বিএনপি। পাল্টা শক্তি দেখাতে বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগও। বাগ্‌যুদ্ধের পাশাপাশি সরকারবিরোধী এ আন্দোলন সামনে রেখেই ঢাকাসহ সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে অভিযানও চলছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে চলছে হামলা-মামলাও। নির্দলীয় সরকারের দাবিতে এক দফা চূড়ান্ত আন্দোলনের আগে আরও বড় সাঁড়াশি অভিযানের আশঙ্কা করছেন দলটির নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে ঢাকায় মহাসমাবেশের আগে গণগ্রেপ্তারে নামতে পারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নতুন মামলার পাশাপাশি পুরোনো মামলার জামিন বাতিল ও অচেনা আসামি হিসেবেও গ্রেপ্তার হতে পারেন অনেকে।

অবশ্য পুলিশের দায়িত্বশীলরা বলছেন, যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে। অনেকের বিরুদ্ধেই ছিল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। এর সঙ্গে রাজনৈতিক কর্মসূচির কোনো যোগসাজশ নেই। এ পরিস্থিতিতে নেতাকর্মীর সংঘাত এড়িয়ে সতর্কতার মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছার নির্দেশনা দিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গ্রেপ্তারের পাশাপাশি ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতাকর্মীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ ও হয়রানি করছে পুলিশ। অভিযানে নারীদের সঙ্গে ‘ন্যক্কারজনক আচরণ’ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। আগামীকাল শনিবার ফরিদপুরের গণসমাবেশের আগে অন্তত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিলেটে বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল খুন হওয়ার পর ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন পাঁচ নেতাকর্মী। গত রোববার প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হয়। দলটির অভিযোগ, গণসমাবেশ শুরুর পর থেকে দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমকালকে বলেন, অবৈধ সরকার গণজোয়ার দেখে দিশেহারা হয়ে গেছে। আবারও অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে মামলা, হামলা ও গ্রেপ্তার শুরু করেছে। এবার এসব করে গণআন্দোলন রুখতে পারবে না। বিএনপি নেতাকর্মী জীবন-মৃত্যু হাতে নিয়েই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে নেমেছে। সঙ্গে যোগ দিয়েছে ভোটাধিকারহারা সাধারণ মানুষও। গণঅভ্যুত্থানের মুখে এ সরকার এবার পালানোর পথ পাবে না।

গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) এ কে এম হাফিজ আক্তার সমকালকে বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীর গণহারে গ্রেপ্তার বা ধরপাকড়ের অভিযোগ একেবারেই সত্য নয়। পুলিশের নিয়মিত অভিযানে মামলার আসামি, সন্দেহভাজন বা পরোয়ানাভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এখানে দলীয় পরিচয় দেখে কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। বিএনপির অভিযোগ, বিভাগীয় গণসমাবেশের আগে প্রতিটি জায়গায় নেতাকর্মী গ্রেপ্তারে বাসা, হোটেল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়েছে। সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশালে নেতাকর্মীর নামে দেওয়া হয়েছে নতুন মামলা। বরিশাল সমাবেশে যাওয়ার পথে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় ইশরাককে আসামি করে শতাধিক নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে। বরিশাল গণসমাবেশ শেষে ঢাকায় ফিরেই গ্রেপ্তার হয়েছেন মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ। মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান রতন আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। বিএনপির সমাবেশ চলাকালে নয়াপল্টন দিয়ে যাওয়ার পথে হামলার মুখে পড়েন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক অচেনা ব্যক্তিকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়। ওই মামলায় ইতোমধ্যে সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারুন উর রশীদসহ ছাত্রদলের ১৭ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রাম দিয়ে শুরু হয় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। ইতোমধ্যে ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর ও বরিশালে শেষ হয়েছে কর্মসূচি। এসব সমাবেশের আগে ও পরে প্রতিটি এলাকায় বাধার মুখে পড়ে বিএনপি নেতাকর্মী। হামলার শিকারও হয় তারা। গত রোববার ভোলার চরফ্যাসন ও ঝালকাঠির নলছিটিতে বিএনপি নেতাকর্মীর ওপর হামলা হয়েছে। চরফ্যাসনের ঢালচরে মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক হারুন পি তের বাড়িতে হামলা চালায় আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থক। বিএনপি নেতা মোসলেহ উদ্দিন মাঝি, যুবদল নেতা মঞ্জু খন্দকার, সাবেক ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ও অহিদ মিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।

পুলিশের আগাম সর্তকতা :সম্প্রতি পুলিশের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দেওয়া এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, রাজনৈতিক উত্তাপে যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। যারা নাশকতা করতে পারে, তাদের ব্যাপারে আগাম তথ্য সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

সংশ্নিষ্টরা বলছেন, নতুন-পুরোনো বিভিন্ন মামলায় বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার ও হয়রানি দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে বিএনপি দেশের বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ শুরুর পর গ্রেপ্তার অভিযানও গতি পেয়েছে। কোথাও কোনো ঘটনা ঘটলেই তাতে বিএনপি নেতাদের নাম জড়ানো হচ্ছে। সম্প্রতি রাজধানীর পল্টনে সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের ওপর হামলার ঘটনাকে পুঁজি করে তেমনি গণহারে বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ২ নভেম্বরের ওই হামলার ঘটনায় পল্টন থানায় করা মামলাটির তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মতিঝিল বিভাগ। তদন্ত সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত হামলায় জড়িত অভিযোগে স্থানীয় সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারুন রশীদসহ ১৭ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিএনপির অভিযোগ প্রসঙ্গে ডিবির তদন্তসংশ্নিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার প্রত্যেকে ওই ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত। নেতারা যা বলছেন, সেটি রাজনৈতিক বক্তব্য।

এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর মিরপুর-৬ নম্বর সেকশনের মুকুল ফৌজ মাঠে বিএনপির সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় দলটির ২২৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। দুটি মামলায় অন্তত ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ প্রসঙ্গে পল্লবী থানার ওসি পারভেজ ইসলাম বলেন, পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরে যারা জড়িত ছিল, তাদেরই আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

বিএনপি সূত্র জানায়, ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন ইউনিটের অন্তত ২৫ নেতাকর্মীকে সম্প্রতি গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন- ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য হুমায়ুন কবির রওশন, দারুসসালাম থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, মিরপুরের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. পারভেজ, ১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মো. আফজাল, ১০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কোষাধ্যক্ষ শাহজাহান সরকার, শাহআলীর ৯৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মো. মিরন, ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।

পুলিশের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো নির্দেশনা আসেনি। তবে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে আইনশৃঙ্খলাসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশের একটি প্রস্তুতি রয়েছে। এর অংশ হিসেবে অতীতে নাশকতাসহ অপরাধমূলক কর্মকাে জড়ানো নেতাকর্মীর তালিকা করা হচ্ছে। তাঁদের কেউ কেউ নিয়মিত অভিযানেই গ্রেপ্তার হচ্ছেন। আর উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা পেলে বাকিদের গ্রেপ্তারে বিশেষ অভিযান চালাবে পুলিশ।

ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে :মানবাধিকারকর্মী নূর খান সমকালকে বলেন, বিএনপির কর্মসূচির শুরুর দিকে সরকারকে বেশ সহনীয় মনে হয়েছিল। তবে সপ্তাহখানেক ধরে ব্যাপকহারে বিরোধী নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এভাবে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে, যাতে মানুষ সংগঠিত হতে না পারে।

অবশ্য পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক সমকালকে বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে বিভিন্ন সময়ে বিশেষ অভিযান চালাতে হয়। এটাকে ধরপাকড় বলা নেহাতই রাজনৈতিক বক্তব্য।

প্রতিদিনই বিএনপি নেতাদের তুলে নেওয়া হচ্ছে- রিজভী :বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। এখন প্রতিদিনই আমাদের নেতাকর্মীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কয়েক দিন গুম রাখার পর তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে। জামিন বাতিল করে কারাগারে ঢোকানো হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, সারাদেশে প্রতিদিন বিএনপি নেতাদের বাড়ি বাড়ি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। বাড়িতে অভিযানকালে হয়রানি, দুর্ব্যবহার করছে। ১২ বছর আগে মারা যাওয়া ফরিদপুরের সাবেক কমিশনার ও শহর বিএনপির সভাপতি প্রয়াত মিয়া আলীর বাড়িতে মঙ্গলবার মধ্যরাতে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। মুন্সীগঞ্জে বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, যিনি এক বছর আগে মারা গেছেন; তাঁর বাড়িতে সাদা পোশাকধারী লোকজন হানা দিয়েছে। তাঁদের বাড়িতে অভিযানকালে নারীদের সঙ্গে ন্যক্কারজনক আচরণ করেছে পুলিশ। প্রতিটি বিভাগীয় গণসমাবেশ বানচাল করতে যানবাহন-পরিবহন বন্ধ করে দিচ্ছে সরকার। পথে পথে হামলা করছে, গ্রেপ্তার করছে।

ফরিদপুরে হামলার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৯ :ফরিদপুর অফিস জানায়, ফরিদপুরে বিভাগীয় গণসমাবেশের আগে বিএনপি নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অসদাচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতারা। বুধবার রাতে ফরিদপুর প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও বিভাগীয় গণসমাবেশের প্রধান সমন্বয়কারী ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাতে গণসমাবেশ সামনে রেখে নগরকান্দায় আটজন ও ফরিদপুরে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফরিদপুরের বিএনপি নেতা মিনান, পংকজ চেয়ারম্যান, লুৎফর, শাজাহান ও বাবুলের বাড়িতে হামলা হয়েছে। ছাত্রদল নেতা মোনায়েমকে থানায় আটকে রাখা হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, নগরকান্দায় সাতজনকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি ফরিদপুরে অন্তত ছয়জন নেতার বাড়িতে অভিযানের নামে হয়রানি করেছে পুলিশ। নেতাদের বাড়িতে অভিযান করে নারীদের সঙ্গে ন্যক্কারজনক আচরণ করেছে।

এ প্রসঙ্গে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোহাম্মদ ইমদাদ হোসাইন বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, ওয়ারেন্ট রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা অবনতি করার রেকর্ড আছে, পুলিশ নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে তাঁদের বাড়িতে গেছে, তল্লাশি করেছে। এ সময় কোনো নারীর সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ করা হয়নি।

সিলেটে গ্রেপ্তার আতঙ্ক :সিলেট ব্যুরো জানায়, আগামী ১৯ নভেম্বর সিলেট বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন সিলেট বিএনপির নেতারা। প্রকাশ্যে মিছিল-সমাবেশ, প্রচারপত্র বিতরণ করছেন তাঁরা। তবে গত ৪ নভেম্বর নগরীর আম্বরখানা এলাকায় বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল খুনের পর ছাত্রদল নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি করা হয় আড়াই শতাধিক নেতাকর্মীকে। এর পর গ্রেপ্তার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে নেতাকর্মীর মধ্যে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সুত্র: সমকাল

জাতীয়-এর আরও খবর