একাদশে ভর্তির ফল প্রকাশ

  বিশেষ প্রতিনিধি    01-01-2023    126
একাদশে ভর্তির ফল প্রকাশ

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় এ ফল প্রকাশ করা হয়। ভর্তিচ্ছুরা ওয়েবসাইটে গিয়ে ফল দেখতে পারবেন।

এ বছর কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করেছে ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ১৪১ জন শিক্ষার্থী। বিভিন্ন কলেজের ২৫ লাখের ৭০ লাখ ২০ হাজারের বেশি আসনের বিপরীতে ভর্তির সুযোগ পাবেন তারা।

ভর্তি প্রক্রিয়া শেষে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে বিভিন্ন কলেজ ও মাদ্রাসায় একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে।

যেভাবে দেখা যাবে ফল বোর্ডের ওয়েবসাইটে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সাইটে প্রবেশ কর ‘ভিউ রেজাল্ট’-এ ক্লিক করলে ফল দেখা যাবে। সেখানে নির্ধারিত স্থানে ভর্তিচ্ছুদের রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বোর্ড ও পাসের বছর ইনপুটের পর ওয়েবপাতায় উল্লেখিত ভেরিফিকেশন কোড ইনপুট দিতে হবে। এরপর নীল বর্ণের ‘ভিউ রেজাল্ট’ বাটনে ক্লিক করলেই শিক্ষার্থীরা তাদের ফল দেখতে পারবেন।

ভর্তি প্রক্রিয়া ভর্তি নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ১ জানুয়ারি থেকে ৮ জানুয়ারির মধ্যে পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচন করতে হবে।

৩২৮ টাকা ফি দিয়ে ভর্তির প্রাথমিক এ নির্বাচন করা যাবে। প্রথম ধাপের শিক্ষার্থীরা তা না করলে নির্বাচন ও আবেদন বাতিল হবে। তাকে পুনরায় ফিসহ আবেদন করতে হবে।

এরপর ৯ ও ১০ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ করা হবে। পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রথম মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ করা হবে ১২ জানুয়ারি। একই দিনে দ্বিতীয় পর্যায়ে আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা পছন্দের প্রতিষ্ঠান বেছে নিতে পারবেন ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত।

তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ করা হবে ১৬ জানুয়ারি। পছন্দক্রম অনুযায়ী দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ করা হবে ১৮ জানুয়ারি। একইদিনে তৃতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে। তৃতীয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা ১৯ ও ২০ জানুয়ারি পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচন করতে পারবে।

সর্বশেষ ২২ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত পছন্দের প্রতিষ্ঠানের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।

প্রসঙ্গত, চলতি বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৯ লাখ ৯৪ হাজার ১৩৭ শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ১৭ লাখ ৪৩ হাজার ৬১৯ জন। পাস করেনি দুই লাখ ৫০ হাজার ৫১৮ শিক্ষার্থী। পাসের হার ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ, গতবার যা ছিল ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

এ বছর দুই হাজার ৯৭৫টি প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। তবে ৫০টি প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়নি। গত বছর এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ১৮।

পাস হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে এক লাখ ৪৮ হাজার ৪৪৬ ছাত্রী। অন্যদিকে এক লাখ ২১ হাজার ১৫৬ ছাত্র জিপিএ ফাইভ পেয়েছে।

জাতীয়-এর আরও খবর