কক্সবাজার থেকে বর্ষার আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। চীনের উদ্যোগ নেয়া পাইলট প্রকল্পের আওতায় এটি হতে পারে।
গত মঙ্গলবার চীনের কুনমিংয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে প্রথম দফায় রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি প্রাধান্য পায়।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ত্রিপক্ষীয় এই বৈঠকে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন। কূটনৈতিক সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর উদ্যোগ হিসেবে গত মাসে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধিদল প্রত্যাবাসনের পাইলট প্রকল্প সামনে রেখে রোহিঙ্গাদের পরিচয় যাচাইয়ে কক্সবাজারে এসেছিল।
এমন প্রেক্ষাপটে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়াবিষয়ক বিশেষ দূত তেং শিজুন অনেকটা নিঃশব্দে গত ৬ এপ্রিল ঢাকা সফর করেন। তিনি ৬ এপ্রিল পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।
এরপর ফিরতি সফরে গত সোমবার চীনে যান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। গতকাল বুধবার ঢাকায় ফিরেছেন তিনি।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘চীনের প্রতিনিধি ঢাকায় এসেছিলেন। তার সঙ্গে বৈঠকে মূল এজেন্ডা ছিল রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন। এরপর আমাদের পররাষ্ট্র সচিব চীন সফরে গেছেন।
সেখানেও তিনি এ বিষয়ে আলাপ করেছেন। ফিরতি সফরে পররাষ্ট্র সচিবকে পাঠানোর মূল কারণ আমরা যে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছি সেটা জানানো।’
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, চীন আগামী বর্ষার আগে হাজারখানেক রোহিঙ্গাকে দিয়ে প্রত্যাবাসন শুরুতে জোর দিচ্ছে। তবে এই প্রত্যাবাসন যাতে স্বেচ্ছায় হয়, সে বিষয়কেও অগ্রাধিকার দিচ্ছে চীন।
এ কারণে প্রাথমিক তালিকায় থাকা রোহিঙ্গাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন না করা এবং একই জায়গায় যাতে নেয়া হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করার কথা বলছে। এ কারণে বিষয়গুলো সুরাহা করে বর্ষার আগে তা শুরু করা যাবে কি না, সে বিষয়েও আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, সম্প্রতি বাংলাদেশে এসে মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলের যাচাই-বাছাই করা ৪৮০ জন রোহিঙ্গা এবং আগের যাচাই করা ৭৫০ জন রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসন করতে চায় মিয়ানমার। অর্থাৎ ১ হাজার ২৩০ জন রোহিঙ্গা দিয়ে পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় দেশটি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পাইলট প্রকল্পের আওতায় থাকা রোহিঙ্গারা দুই বছর আগে থেকেই জানেন তাদের রাখাইনে ফেরত পাঠানো হবে। ফলে মানসিকভাবে তারা ফেরত যাওয়ার বিষয়ে তৈরি থাকলেও পরিবারের সদস্যদের বাদ দিয়ে তারা যাবেন কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রথম ধাপে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন হওয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা কিছুটা কম হবে। কারণ প্রত্যাবাসনের বিভিন্ন জটিলতা আছে। তা ছাড়া কমসংখ্যক রোহিঙ্গা পাঠিয়ে সেগুলো চিহ্নিত করা প্রাথমিক উদ্দেশ্য।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে একটি পাইলট প্রকল্প নিয়ে দুই বছর ধরে কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে এক হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে পাঠানোর জন্য একটি তালিকা যাচাই করতে সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে প্রতিনিধিদল কক্সবাজারে এসে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলোচনা করে গেছে। এ ছাড়া গত মার্চে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতসহ মোট ১১টি দেশের কূটনীতিকদের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জন্য নির্মিত বিভিন্ন অবকাঠামো ঘুরিয়ে দেখানো হয়।
কক্সবাজার থেকে বর্ষার আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জল্পনা
কক্সবাজার থেকে বর্ষার আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। চীনের উদ্যোগ নেয়া পাইলট প্রকল্পের আওতায় এটি হতে পারে।
গত মঙ্গলবার চীনের কুনমিংয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে প্রথম দফায় রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি প্রাধান্য পায়।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ত্রিপক্ষীয় এই বৈঠকে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন। কূটনৈতিক সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর উদ্যোগ হিসেবে গত মাসে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধিদল প্রত্যাবাসনের পাইলট প্রকল্প সামনে রেখে রোহিঙ্গাদের পরিচয় যাচাইয়ে কক্সবাজারে এসেছিল।
এমন প্রেক্ষাপটে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়াবিষয়ক বিশেষ দূত তেং শিজুন অনেকটা নিঃশব্দে গত ৬ এপ্রিল ঢাকা সফর করেন। তিনি ৬ এপ্রিল পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।
এরপর ফিরতি সফরে গত সোমবার চীনে যান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। গতকাল বুধবার ঢাকায় ফিরেছেন তিনি।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘চীনের প্রতিনিধি ঢাকায় এসেছিলেন। তার সঙ্গে বৈঠকে মূল এজেন্ডা ছিল রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন। এরপর আমাদের পররাষ্ট্র সচিব চীন সফরে গেছেন।
সেখানেও তিনি এ বিষয়ে আলাপ করেছেন। ফিরতি সফরে পররাষ্ট্র সচিবকে পাঠানোর মূল কারণ আমরা যে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছি সেটা জানানো।’
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, চীন আগামী বর্ষার আগে হাজারখানেক রোহিঙ্গাকে দিয়ে প্রত্যাবাসন শুরুতে জোর দিচ্ছে। তবে এই প্রত্যাবাসন যাতে স্বেচ্ছায় হয়, সে বিষয়কেও অগ্রাধিকার দিচ্ছে চীন।
এ কারণে প্রাথমিক তালিকায় থাকা রোহিঙ্গাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন না করা এবং একই জায়গায় যাতে নেয়া হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করার কথা বলছে। এ কারণে বিষয়গুলো সুরাহা করে বর্ষার আগে তা শুরু করা যাবে কি না, সে বিষয়েও আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, সম্প্রতি বাংলাদেশে এসে মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলের যাচাই-বাছাই করা ৪৮০ জন রোহিঙ্গা এবং আগের যাচাই করা ৭৫০ জন রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসন করতে চায় মিয়ানমার। অর্থাৎ ১ হাজার ২৩০ জন রোহিঙ্গা দিয়ে পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় দেশটি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পাইলট প্রকল্পের আওতায় থাকা রোহিঙ্গারা দুই বছর আগে থেকেই জানেন তাদের রাখাইনে ফেরত পাঠানো হবে। ফলে মানসিকভাবে তারা ফেরত যাওয়ার বিষয়ে তৈরি থাকলেও পরিবারের সদস্যদের বাদ দিয়ে তারা যাবেন কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রথম ধাপে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন হওয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা কিছুটা কম হবে। কারণ প্রত্যাবাসনের বিভিন্ন জটিলতা আছে। তা ছাড়া কমসংখ্যক রোহিঙ্গা পাঠিয়ে সেগুলো চিহ্নিত করা প্রাথমিক উদ্দেশ্য।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে একটি পাইলট প্রকল্প নিয়ে দুই বছর ধরে কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে এক হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে পাঠানোর জন্য একটি তালিকা যাচাই করতে সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে প্রতিনিধিদল কক্সবাজারে এসে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলোচনা করে গেছে। এ ছাড়া গত মার্চে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতসহ মোট ১১টি দেশের কূটনীতিকদের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জন্য নির্মিত বিভিন্ন অবকাঠামো ঘুরিয়ে দেখানো হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক সৈয়দ মনিরুজ্জামান ফয়সাল
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক
ইঞ্জি. কে এম মেহেদী হাসান |
হেড অফিসঃ
বাসা নং- ২৪, রোড নং-০৪, ব্লক নং-এইচ
বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা-১২১৯ |
প্রিন্টের তারিখ ও সময়: April 19, 2024, 5:16 am