বিলাওয়াল ছাড়াও ইমরানের সঙ্গে আলোচনা চান যারা

  বিশেষ প্রতিনিধি    20-04-2023    119
বিলাওয়াল ছাড়াও ইমরানের সঙ্গে আলোচনা চান যারা

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ বা পিটিআইয়ের সঙ্গে আলোচনা করতে চান বর্তমান জোট সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি। তার সঙ্গে সম্মতি জানিয়েছেন জোট সরকারের আরও কয়েকজন নেতা।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, পিটিআই চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে বৈঠক করেছে ক্ষমতাসীন জোট। তবে ভিন্ন মতামতের কারণে কোনো ধরনের ঐকমত্য ছাড়াই শেষ হয়েছে বৈঠকটি।

জিও নিউজ এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে। এতে বলা হয়, জামায়াত-ই-ইসলামি (জেআই) উভয় পক্ষকে আলোচনার টেবিলে আনার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তার পরই নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসল পিএমএল-এন নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জামায়াত-ই-ইসলামির প্রচেষ্টার প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে রাজধানী ইসলামাবাদে বৈঠকটি আহবান করেন। এতে অংশ নেন ক্ষমতাসীন জোট পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (পিডিএম) ১৩টি রাজনৈতিক দলের নেতারা।

সূত্রের বরাত দিয়ে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, বৈঠক চলাকালে বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে জোট সরকারের শরিকদের মতবিরোধ দেখা দেয়। কেউ কেউ বলেন, পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানকে বিশ্বাস করা যায় না। আবার অন্যরা জোর দেন যে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার আলোচনার চ্যানেলগুলো বন্ধ করা উচিত নয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এতে সমর্থন জানান মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি), বেলুচিস্তান ন্যাশনাল পার্টি, বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টি, চৌধুরী সালিক এবং মহসিন দাওয়ার।

পিপিপি চেয়ারম্যান বলেন, আলোচনার দরজা বন্ধ করা তার দলের নীতির পরিপন্থী এবং অগণতান্ত্রিক। দেশকে সংকট থেকে বের করার লক্ষ্যে সময়ের প্রয়োজনেই সংলাপের পথ অবলম্বন করা উচিত, বলেন বিলাওয়াল।

কিন্তু জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম-ফজল (জেইউআই-এফ) এবং জামহুরি ওয়াত্তান পার্টির (জেডব্লিউপি) প্রতিনিধিরা বিলাওয়ালের মতামতকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারা বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করা জোটের স্বার্থ নয়। গত বছরের এপ্রিলে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতা হারান ইমরান খান।

জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম-ফজল বলেছে, ইমরান খান কোনো রাজনৈতিক শক্তি নন; আমরা তার সঙ্গে সংলাপের বিরোধিতা করি।

অপরদিকে জামহুরি ওয়াত্তান পার্টির নেতা শাহজাইন বুগতি বলেন, তার দল আলোচনার বিরোধিতা করছে না, কিন্তু ‘ইমরান একজন মিথ্যাবাদী’। পিটিআই চেয়ারম্যান বিশ্বাসের অযোগ্য বলেও উল্লেখ করেন বুগতি।

আন্তর্জাতিক-এর আরও খবর