৬২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন

  বিশেষ প্রতিনিধি    26-04-2023    91
৬২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন

ফাইল ফটো

গত ২৫ এপ্রিল ১০ হাজার ৯৩০ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন হয়েছে। এ নিয়ে চলতি মৌসুমে মোট লবণ উৎপাদনের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন, যা ৬২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

বুধবার (২৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিগত বছরে লবণ উৎপাদন হয়েছিল ১৮ লাখ ৩২ হাজার মেট্রিক টন। চলতি মৌসুমে লবণ চাষের জমি ৬৬ হাজার ৪২৪ একর, গত বছর ছিল ৬৩ হাজার ২৯১ একর। গত বছরের তুলনায় এ বছর লবণ চাষের জমি বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ হাজার ১৩৩ একর। চলতি মৌসুমে লবণচাষি ৩৯ হাজার ৪৬৭ জন, গত বছর ছিল ৩৭ হাজার ২৩১ জন। গত বছরের তুলনায় এ বছর লবণচাষি বেড়েছে ২ হাজার ২৩৬ জন।

আমদানি না করে দেশে লবণ উৎপাদনের মাধ্যমে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে চলতি মৌসুমে এক মাস আগেই লবণচাষিদের মাঠে নামানো হয়। গত মৌসুমে লবণ উৎপাদন শুরু হয় ৩০ নভেম্বর। চলতি মৌসুমে লবণ উৎপাদন শুরু হয় ২৪ অক্টোবর। লবণ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে স্বল্পমেয়াদী (১ বছর), মধ্যমেয়াদী (১-৫ বছর) এবং দীর্ঘমেয়াদী (৫ বছরের ঊর্ধ্বে) কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।

সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী আধুনিক পদ্ধতিতে লবণ চাষিদের অগ্রিম লবণ চাষে উদ্বুদ্ধকরণ ও প্রশিক্ষণ, লবণ চাষের নতুন এলাকা চিহ্নিতকরণ এবং সম্প্রসারণ, সহজ শর্তে লবণ চাষিদের ঋণ প্রদান, একর প্রতি লবণ উৎপাদন বৃদ্ধিকরণ, প্রকৃত লবণচাষিদের কাছে জমি বরাদ্দকরণ, লবণ চাষের জমির লিজ মূল্য নির্ধারণ, লবণ চাষের জমি সংরক্ষণ, আধুনিক পদ্ধতিতে লবণ উৎপাদনে প্রদর্শনী ও উৎপাদিত লবণের মান নিয়ন্ত্রণে কারিগরি সহায়তা প্রদান, জরিপ পরিচালনা, লবণ চাষ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ এবং লবণ উৎপাদন, মজুদ ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে নিয়মিতভাবে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

চলতি মৌসুমে লবণ উৎপাদন অব্যাহত আছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ২০ লাখ মেট্রিক টনের অধিক লবণ উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

শিল্পের উন্নয়ন কর্মসূচি কার্যালয়ের আওতাধীন ১২টি লবণ কেন্দ্রের মাধ্যমে কক্সবাজারের সব উপজেলায় এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে লবণ চাষের জন্য চাষিদের প্রশিক্ষণ, ঋণ প্রদান এবং প্রযুক্তি সম্প্রসারণসহ সার্বিক সহায়তা দেওয়া হয়।

সারাদেশ-এর আরও খবর