আশ্রয়শিবিরে কালো ছায়া: শেখানো হয় ‘ইঁয়ান আঁরার দেশ’

  বিশেষ প্রতিনিধি    24-05-2023    98
আশ্রয়শিবিরে কালো ছায়া: শেখানো হয় ‘ইঁয়ান আঁরার দেশ’

মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে আশ্রয় পাওয়া রোহিঙ্গাদের একটি বড় অংশ বাংলাদেশকে তাদের রাষ্ট্র বলে ভাবতে শুরু করেছে। ‘ইঁয়ান আঁরার দেশ’ অর্থাৎ ‘এটা আমাদের দেশ’- এমন কথা ‘তোতা পাখির মতো’ বলতে শুরু করেছে রোহিঙ্গারা। লোক দেখানো প্রত্যাবাসনের পাশাপাশি বাংলাদেশের বিপক্ষে মিয়ানমারের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে গোপনে রোহিঙ্গাদের এমন কথা শেখানো হচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্রে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আন্তর্জাতিক মহলে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চলছে- রাখাইনের রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠী বাংলাদেশেরই নাগরিক। ভাষাভিত্তিক ও শারীরিক গঠনের দিক থেকে এই দাবি মিয়ানমার বহু আগেই তুলেছে। এখন রোহিঙ্গাদের বোঝানো গেলে তারা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য সংঘবদ্ধ হবে। রোহিঙ্গা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই উদ্দেশ্যে কাজ করছে একাধিক এনজিও, মিয়ানমারের নিয়োজিত রোহিঙ্গা এজেন্ট, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিদেশি কয়েকটি চক্র।

পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট মিশন

রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের নাগরিক করার জন্য ইতোমধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট তৈরির মিশন সফল হয়েছে। কক্সবাজার জেলার জনপ্রতিনিধিসহ দেশের বিভিন্ন জেলার জনপ্রতিনিধিদের লাখ টাকা দিয়ে রোহিঙ্গাদের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট তৈরি করা হয়। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের নাগরিক পরিচয়ে পাসপোর্ট নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে এক লাখের বেশি রোহিঙ্গা গেছে। সৌদি, মালয়েশিয়াসহ যেসব দেশে রোহিঙ্গারা রয়েছে, তাদের ফেরত পাঠালে নাগরিক হিসেবে মেনে নেওয়া ছাড়া বাংলাদেশের পক্ষে কোনো উপায় থাকবে না।

সূত্রগুলো জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরির খরচ মিয়ানমার থেকে সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়া কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্য রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার থেকে বিনামূল্যে ইয়াবা ও আইস সরবরাহ করা হচ্ছে।

একটি সংস্থার তথ্য মতে, রোহিঙ্গাদের একটি অংশ চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। তাদের নাগরিক পরিচয় বাংলাদেশি। এই পরিচয় সূত্রে তাদের আত্মীয়স্বজনরাও কৌশলে বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে থাকার চেষ্টা করছে। আবার অনেকে কৌশলে পাসপোর্ট সংগ্রহ করে বিদেশে চলে গেছে।

সম্প্রতি মিয়ানমারের বিদ্রোহী সংগঠন আরসা প্রধান আতাউল্লাহর ভাইকে গ্রেপ্তারের পর চট্টগ্রামের ঠিকানায় তার জন্মনিবন্ধন পাওয়া গেছে। অপর এক আরসা নেতা চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হলে তার নামেও বাংলাদেশি পাসপোর্ট পাওয়া গেছে।

কক্সবাজার পিপলস ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর আহমদ জানান, রোহিঙ্গাদের একটি অংশ কক্সবাজার জেলা ছাড়াও পাবর্ত্য এলাকা ও চট্টগ্রামে মিশে গেছে। যাদের অনেকে নাগরিক হওয়া ছাড়াও জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার নজির রয়েছে।

রোহিঙ্গা থাকলে চাকরি থাকবে

উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে কাজে যুক্ত বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। এসব সংস্থার কর্মকাণ্ড নিয়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি প্রতিনিধিদল তদন্ত শুরু করে। তদন্তে উঠে আসে কয়েকটি সংস্থার রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশবিরোধী অপতৎপরতার ভয়াবহ চিত্র। এমনকি দেশীয় সংস্থাগুলোর রাষ্ট্রদ্রোহিতার কথাও ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গাদেরকে মিয়ানমারে ফিরে যেতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে জাতিসংঘ এবং আমেরিকা মিলে কক্সবাজার ও রাখাইনের জায়গা একত্র করে পৃথক রাষ্ট্র গঠন করার আশাবাদ দেখিয়ে সংস্থাগুলো রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশে থেকে যেতে উৎসাহিত করে যাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের বলা হচ্ছে, মিয়ানমারে ফিরে গেলে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারবে না।

প্রতিবেদনের সঙ্গে একমত পোষণ করে উখিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহামুদুল হক চৌধুরী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানান, বর্তমানে রোহিঙ্গার সংখ্যা ১২ লাখ। যে চুক্তি মতে প্রত্যাবাসনের কথা বলা হচ্ছে, তাতে বলা হয়েছে প্রতিদিন ২০০ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, সরকারি ছুটি বাদ দিয়ে বছরে ২০০ দিন রোহিঙ্গা পাঠানো সম্ভব। এ হিসেবে বছরে যাবে ৪০ হাজার রোহিঙ্গা। ইউএনএইচসিআরের তথ্য মতে, ক্যাম্পে বছরে ৬০ হাজার শিশু জন্ম নেয়। বেসরকারি হিসেবে ৮০ হাজার। প্রতিবছর ৪০ হাজার নিয়ে গেলেও একই সময়ে রোহিঙ্গা বাড়ছে সমানতালে। এর ফলে প্রত্যাবাসন কখনও শেষ হবে বলে মনে হয় না।

প্রত্যাবাসনের মূল প্রতিবন্ধকতা ক্যাম্পের এনজিও, আইএনজিওর কর্মকর্তারা বলে মন্তব্য করে মাহামুদুল আরও জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাজ করা এনজিওগুলো রোহিঙ্গাদের এদেশে রেখে দিতে চায়। সেজন্য রোহিঙ্গাদের নানাভাবে প্রলোভন দেখাচ্ছে তারা। এর কারণ রোহিঙ্গা চলে গেলে তাদের চাকরিও যাবে। তাদের মধ্যে কয়েকশ ব্যক্তির বেতনভাতা লাখের ওপরে। এ ছাড়া বিভিন্ন এনজিও ফান্ড থেকে টাকা আয় করা ব্যক্তিও কম নয়, তারাও আছেন রোহিঙ্গাদের এদেশে রেখে দেওয়ার তৎপরতায়।

পুরোনো ষড়যন্ত্র নতুন রূপে

বাংলাদেশের পার্বত্য বিভাগ নিয়ে মিয়ানমারের ষড়যন্ত্র আজকের নয়। রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে এ চক্রান্ত অনেক দূর গড়িয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে কাজ করছে আরসা ও আরএসও। অন্যান্য সশস্ত্র দলও মিয়ানমারের হয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তবে সাধারণ রোহিঙ্গা সব সময় ব্যবহার হয়ে আসছে। তারা জানেন না, রোহিঙ্গা নেতাদের আসল উদ্দেশ্য কী।

২০১৩ সালে বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি এলাকায় দখলদারিত্বের পরিকল্পনা করেছিল মিয়ানমার। তখন ৯৬৯ আন্দোলনের নামে মিয়ানমারের ‘বৌদ্ধভিক্ষু’ আশ্বিন উইরাথু ও পার্বত্য চট্টগ্রামের ‘দ্য ওয়ার্ল্ড বৌদ্ধ শাসন সেবক সংঘ’-এর প্রতিষ্ঠাতা উ পঞ ঞাঁ জোত মহাথের (উ চ হ্লা ভান্তে) একযোগে কাজ শুরু করছিল।

বান্দরবান থেকে বৌদ্ধভিক্ষুদের মিয়ানমারে যাতায়াতে সন্দেহ হলে বিজিবি বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে জানায়। পরবর্তী সময়ে মিয়ানমারের পরিকল্পনা সম্পর্কে অনেক কিছু বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা জানতে পারে এবং সে চিত্র তুলে ধরে সরকারের কাছে একটা প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।

গোয়েন্দা প্রতিবেদনে সীমান্তে অবাধ গমনাগমন রোধে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের সুপারিশসহ বিশেষ কিছু বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়। সেসব বাস্তবায়নের ফলে বান্দরবান ও খাগড়াছড়িবিরোধী ষড়যন্ত্র ভেস্তে দেওয়া যায়। এরপর সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় মিয়ানমারের ‘বৌদ্ধভিক্ষু’ আশ্বিন উইরাথুর নেতৃত্বে কট্টরপন্থি বৌদ্ধরা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিসংসতা উস্কে দেয়। একই সঙ্গে মিয়ানমারের পুলিশের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের উস্কে দিতে নিয়োগ দেওয়া হয় আতাউল্লাহ ওরফে আবু আম্মার জুনুনিকে।

তিনি ২০১৩ সালে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান হিসেবে যোগ দেন। আরসা ২০১৬ সালে রাখাইনে পুলিশ ফাঁড়ি এবং ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলা চালায়। যে হামলার কারণ দেখিয়ে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনী নির্যাতন শুরু করে। ওই সময় মিয়ানমার থেকে পালিয়ে ৯ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

ক্রমবর্ধমান সহিংসতার ফলে গত তিন দশক ধরে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা বিপুল। এর মধ্যে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে জনসমুদ্রে পরিণত হয়। ১৯৪২ সাল থেকে এ পর্যন্ত চারটি বড় আকারের অনুপ্রবেশ সংঘটিত হয়েছে। ১৯৭৮ সালে প্রায় ২ লাখ, ১৯৯১ ও ৯২ সালে আড়াই লাখ, ২০১৬ সালে প্রায় ৮৭ হাজার এবং ২০১৭ ও ২০১৮ সালে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার আরআরআরসি অফিসের মাধ্যমে এই জনগোষ্ঠীকে মৌলিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।

চলছে প্রত্যাবাসনের ‘নাটক’

আরআরআরসি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ মিয়ানমারের কাছে প্রত্যাবাসনের জন্য ৮ লাখ ৮২ হাজার রোহিঙ্গার একটি তালিকা দিয়েছিল। সে তালিকা যাছাই-বাছাই করে মাত্র ৬৮ হাজার রোহিঙ্গার একটি তালিকা চূড়ান্ত করে বাংলাদেশের কাছে ফেরত পাঠিয়েছিল মিয়ানমার। এর আগে ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের প্রথম দলটিকে মিয়ানমারে নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি আর বাস্তবে আলোর মুখ দেখেনি। এরপর ২০১৯ সালে আগস্টে চীনের তরফ থেকে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর আরেকটি উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু নাগরিকত্বের বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় রোহিঙ্গারা যেতে রাজি হয়নি। আবার রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে চীনের তরফ থেকে তৃতীয় দফার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর অংশ হিসেবে চলতি মাসের ৫ মে প্রতিনিধিদল মিয়ানমার যায়। দলটির কাছে মিয়ানমার বিভিন্ন শর্ত মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলেও পরিদর্শনে থাকা রোহিঙ্গারা এর প্রকাশ্য বিরোধিতা করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার জানা গেছে, ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে রোহিঙ্গাদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য চলতি মাসে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশে আসার কথা ছিল। তবে সাইক্লোন ‘মোখা’র অজুহাত দেখিয়ে তারা সফর পিছিয়ে দিয়েছে।

ইতোমধ্যে স্বেচ্ছায় মিয়ানমার যাওয়ার জন্য যারা কাজ করছিলেন তাদের অধিকাংশ ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। দেড় শতাধিক খুন হওয়া ব্যক্তির সবাই ছিলেন মিয়ানমারে ফেরত যাবার পক্ষে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। অভিযোগ রয়েছে, মিয়ানমারের হয়ে তাদের হত্যার কাজ করছে আরসা। আরসা ও আরএসও-কে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে না বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

কক্সবাজার বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আয়াছুর রহমান জানান, ‘৯০ পরবর্তী রোহিঙ্গাদের সংগঠন আরএসওর তৎপরতা বেড়েছে। এর আগে তারা মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের স্বাধীনতার কথা বললেও বর্তমানে এনজিও এবং বিদেশি চক্রের সহায়তায় সুর বদলে পার্বত্য অঞ্চলকে যুক্ত করে আলাদা রাষ্ট্র গঠনের ঘোষণা দিয়েছে।

তিনি আরও জানান, এখন নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করা হয়েছে। বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ক্যাম্পে হামলা, স্থানীয় মানুষ হত্যা, অস্ত্রবাজিসহ নানা অপরাধে যুক্ত হয়েছে তারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় এসব বন্ধ করা না গেলে ভবিষ্যতে বিপদ রয়েছে।

কক্সবাজার জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা বিষয়টি স্বীকার করে বলেছেন, রোহিঙ্গারা এটাকে নিজের দেশ মনে করে। নানা কারণে ক্যাম্পে বিনাশ্রমে খাওয়া, স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ায় মিয়ামনারে ফিরতে রাজি নয় তারা। স্বেচ্ছায় না গেলে প্রত্যাবাসনের এই জটিলতা রয়ে যাবে বহুদিন। সুত্র: প্রতিদিনের বাংলাদেশ

সারাদেশ-এর আরও খবর