পাইলট প্রকল্পের আওতায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনার জন্য মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধিদল আজ বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজারের টেকনাফে পৌঁছেছে।
কক্সবাজার থেকে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি দল দ্বিতীয়বারের মতো কক্সবাজার সফর করছে।
রোহিঙ্গাদের একটি দলকে প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের নেওয়া ব্যবস্থা দেখতে গত ৫ মে রাখাইন রাজ্যে ২০ রোহিঙ্গা সদস্য ও ৭ বাংলাদেশি কর্মকর্তার সফর করে। মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের এই সফর পূর্ব নির্ধারিত ছিল। কিন্তু ১৪ মে কক্সবাজার সীমান্তের কাছে মিয়ানমারে ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানায় সফর বিলম্বিত হয়।
মিজানুর রহমান বলেন, মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলটি ১৪ সদস্যের। তাঁরা মূলত কক্সবাজারের শিবিরে থাকা রোহিঙ্গাদের মূল আবাস মিয়ানমারের রাখাইনের সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন।
আলোচনা শেষে আজ বিকেলেই প্রতিনিধি দলটির মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার।
আরআরআরসি কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব প্রীতম সাহা বলেন, ‘প্রতিনিধি দলটি টেকনাফের ২৬ নম্বর ক্যাম্পের হলরুমে প্রায় ৩০০ রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ব্রিফ করছে।’
গত ১৮ এপ্রিল চীনের কুনমিংয়ে বেইজিংয়ের মধ্যস্থতায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে পাইলট প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ১৭৬ রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা হয়েছিল।
বৈঠকে মে মাস (চলতি) নাগাদ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে তিন দেশ সম্মত হয়েছিল।
কুনমিং বৈঠকের সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধিদল ৫ মে রাখাইন ঘুরে আসে।
এর এক সপ্তাহের মধ্যে মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশে আসার কথা ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলের সফরটি পিছিয়ে যায়। এখন তারা সফরে এল।
কাল ২৬ মে ঢাকা সফরে আসছেন চীনের ভাইস মিনিস্টার সুন ওয়েইডং। তাঁর তিন দিনের ঢাকা সফরকালে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি অগ্রাধিকার পাবে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত,বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে। বেশির ভাগই ২০১৭ সালে তাদের দেশে সহিংস সামরিক অভিযান থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসে।
২০১৭ সালে মিয়ানমার নাগরিকদের সবচেয়ে বড় অংশ বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার প্রত্যাবাসনের জন্য একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এখন পর্যন্ত ২ প্রত্যাবাসনের চেষ্টা করা হলেও সেই উদ্যোগ ব্যর্থ হয়।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনার জন্য আবারও টেকনাফে মিয়ানমারের প্রতিনিধিদল
পাইলট প্রকল্পের আওতায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনার জন্য মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধিদল আজ বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজারের টেকনাফে পৌঁছেছে।
কক্সবাজার থেকে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি দল দ্বিতীয়বারের মতো কক্সবাজার সফর করছে।
রোহিঙ্গাদের একটি দলকে প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের নেওয়া ব্যবস্থা দেখতে গত ৫ মে রাখাইন রাজ্যে ২০ রোহিঙ্গা সদস্য ও ৭ বাংলাদেশি কর্মকর্তার সফর করে। মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের এই সফর পূর্ব নির্ধারিত ছিল। কিন্তু ১৪ মে কক্সবাজার সীমান্তের কাছে মিয়ানমারে ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানায় সফর বিলম্বিত হয়।
মিজানুর রহমান বলেন, মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলটি ১৪ সদস্যের। তাঁরা মূলত কক্সবাজারের শিবিরে থাকা রোহিঙ্গাদের মূল আবাস মিয়ানমারের রাখাইনের সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন।
আলোচনা শেষে আজ বিকেলেই প্রতিনিধি দলটির মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার।
আরআরআরসি কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব প্রীতম সাহা বলেন, ‘প্রতিনিধি দলটি টেকনাফের ২৬ নম্বর ক্যাম্পের হলরুমে প্রায় ৩০০ রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ব্রিফ করছে।’
গত ১৮ এপ্রিল চীনের কুনমিংয়ে বেইজিংয়ের মধ্যস্থতায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে পাইলট প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ১৭৬ রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা হয়েছিল।
বৈঠকে মে মাস (চলতি) নাগাদ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে তিন দেশ সম্মত হয়েছিল।
কুনমিং বৈঠকের সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধিদল ৫ মে রাখাইন ঘুরে আসে।
এর এক সপ্তাহের মধ্যে মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশে আসার কথা ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলের সফরটি পিছিয়ে যায়। এখন তারা সফরে এল।
কাল ২৬ মে ঢাকা সফরে আসছেন চীনের ভাইস মিনিস্টার সুন ওয়েইডং। তাঁর তিন দিনের ঢাকা সফরকালে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি অগ্রাধিকার পাবে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত,বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে। বেশির ভাগই ২০১৭ সালে তাদের দেশে সহিংস সামরিক অভিযান থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসে।
২০১৭ সালে মিয়ানমার নাগরিকদের সবচেয়ে বড় অংশ বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার প্রত্যাবাসনের জন্য একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এখন পর্যন্ত ২ প্রত্যাবাসনের চেষ্টা করা হলেও সেই উদ্যোগ ব্যর্থ হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক সৈয়দ মনিরুজ্জামান ফয়সাল
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক
ইঞ্জি. কে এম মেহেদী হাসান |
হেড অফিসঃ
বাসা নং- ২৪, রোড নং-০৪, ব্লক নং-এইচ
বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা-১২১৯ |
প্রিন্টের তারিখ ও সময়: April 19, 2024, 4:50 am