উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ পুকুরিয়া গ্রামে লক্ষাধিক টাকা মূল্যের একটি ষাঁড় গরু ভুল চিকিৎসায় অপমৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী খামারি মো: হোছনের ছেলে শহিদুল ইসলাম।
গতকাল ২৫ জুলাই দায়েরকৃত অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, ক্ষুরারোগে আক্রান্ত একটি ষাঁড় গরু গত ১৭ জুলাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে নিয়ে আসার সময় গয়ালমারা স্টেশনে কথিত পশু ডাক্তার মো: আব্দুল্লাহ’র সাথে দেখা হয়।
সে নিজেকে একজন অভিজ্ঞ পশু ডাক্তার পরিচয় দিয়ে অসুস্থ গরুটি চিকিৎসা করতে পারবে বলে আশ্বস্ত করলে তার নিকট চিকিৎসা করায়। উক্ত পশু ডাক্তার দুই দিন যাবত চিকিৎসা করে এবং ভোটোপেন ইনজেকশন, ক্ষুরাভেট সলুশন ও নাইট্রোনেক্স ইনজেকশনসহ আরো কিছু মেডিসিন ব্যবহার করে।
তৃতীয় দিন গরু অবস্থার অবনতি হলে গরুর মালিক শহিদুল ইসলাম উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস যোগাযোগ করে এবং দায়িত্বরত একজন পশু চিকিৎসককে সাথে নিয়ে বাড়িতে গেলে গরুটির নাকে মুখে ফেনাসহ মৃত অবস্থায় দেখতে পায়।
ক্ষতিগ্রস্ত খামারি শহিদুল ইসলাম লিখিত অভিযোগে আরো বলেন, মিথ্যা তথ্য দিয়ে কথিত পশু ডাক্তার আব্দুল্লাহ আমার গরুটি ভুল চিকিৎসা করে মেরে ফেলেছে, এর উপযুক্ত বিচার দাবি করেন সে।
অভিযুক্ত পশু চিকিৎসক মো: আবদুল্লাহ’র সাথে কথা হলে সে জানায়, আমি একটি অসুস্থ ষাঁড় গরুকে ভালো করার জন্য চিকিৎসা করেছি, এতে মারা গেলে আমার করার কিছু নেই, আর আমার ভুল চিকিৎসায় গরুটি মারা গেছে এ ধরনের কোন তথ্য প্রমাণ তারা দেখাতে পারলে আমি যেকোনো শাস্তি মাথা পেতে নেবো।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: পলাশ চন্দ্র রায় এর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, মো: আব্দুল্লাহ নামে আমাদের কোন অনুমতি প্রাপ্ত বা সনদধারী পশু চিকিৎসক নেই। তবে ঘটনাটি আমিও শুনেছি, উক্ত খামারিকে বুধবার আমার অফিসে আসতে বলেছি।